রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত

রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত | Impotance Of Ramadan

রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত | Impotance Of Ramadan

মাহে রমজান অন্য সকল মাস অপেক্ষা উত্তম ও তাৎপর্যপূর্ণ। এ মাসের অর্জিত জ্ঞান অন্য সকল মাসে প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের জীবন সুন্দর ও আলোকিত হয়ে ওঠে। রহমত, মাগফেরাত আর নাজাতের বার্তা নিয়ে আসা রমজান নিঃসন্দেহে অন্যান্য মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাপূর্ণ। ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি।

আল্লাহপাক রোজা আমাদের ওপর ফরজ করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ কোরআনে বলেছেন – “হে মু’মিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর। যাতে করে তোমরা তাকওয়া ও পরহেজগারী অর্জন করতে পারো। (সূরা বাক্বারা, আয়াত : ১৮৩)।”

রমজান মাস অত্যন্ত মহিমান্বিত মাস কারন এ মাসেই পবিত্র কোরআন মাজীদ নাজিল হয়েছে। আল কোরআনের ভাষায় “রমজান মাস এমন এক মাস, এ মাসেই কোরআন নাজিল হয়েছে, যা সমগ্র মানবজাতির জন্যে দিশারী, সত্যপথের স্পষ্ট পথনির্দেশকারী এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্য নিরুপণকারী। (সূরা বাক্বারা, আয়াত : ১৮৫)”

এ মাসেই আমরা লাইলাতুল কদর পাই; যা সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত বা পবিত্র রজনী। আমরা বিশ্বাসী এ রাতে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের সম্মান বৃদ্ধি করে দিবেন এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তাই এ রাত অত্যন্ত পুণ্যময় ও মহাসম্মানিত হিসেবে পরিগণিত।

সিয়াম সাধনার অর্থ – সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্তের পর পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার, পাপাচার এবং খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত ও সংযত রাখা। এ পবিত্র মাস মানুষকে সকল রকম গর্হিত ও অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখে এবং সকলকে সাধ্যমত ইবাদাত বন্দেগি করার জন্য উৎসাহিত করে। কারন রোজা সম্পর্কে আল্লাহর স্বয়ং এরশাদ করেছেন: “রোজা আমার জন্যে এবং আমিই তার পুরস্কার দান করবো। ” (সুবহানাল্লাহ!)

হযরত ইমাম রাযা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) শাবান মাসের শেষের দিকে একটি খুৎবা বর্ণনা করেছিলেন। খুৎবায় তিনি বলেছিলেন যে, ওহে লোক সকল! তোমরা সকলে জেনে নাও যে আল্লাহর মাস রহমত, বরকত ও আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার সব চাইতে ভাল দিন নিয়ে তোমাদের নিকট উপস্থিত হয়েছে। এই মাস আল্লাহর নিকট সব চাইতে উত্তম মাস। রমজান মাসের দিন সমস্ত বছরের দিনের চাইতে এবং রমজান মাসের রাত সমস্ত বছরের রাতের চাইতে উত্তম। এই মাসে তোমাদের শ্বাস নেয়াও তাসবীহ পাঠ সাওয়াবের সমতুল্য। এই মাসে তোমাদের নিদ্রা ও ইবাদতে গণ্য হবে। আর তোমাদের ইবাদত ও দোয়া গৃহীত হবে। সুতরাং তোমরা পরিস্কার ও পবিত্র মনে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা কর এই যে, যেন আল্লাহ তোমাদেরকে রমজান মাসে রোজা রাখার ও কোরআন শরীফ পড়ার সামর্থ্য দান করেন ।

লোক সকল! এ মাসে তোমাদের মধ্য হতে যে একজন কোনো মু’মিন ভাইকে ইফতার করাবে, আল্লাহ তাকে একজন ক্রীতদাস মুক্তি করে দেয়ার সাওয়াব দান করবেন আর তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেবেন। এ কথা শুনে ক’জন বলল যে, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ)! রোজাদারের ইফতার করানোর সামর্থ্য আমাদের নেই। হযরত (সাঃ) বললেন যে, তোমরা দোযখের আগুন হতে নিজেকে রক্ষা কর আর রোজাদারকে ইফতার করাও, হয় অর্ধেক খোরমার মাধ্যমে, না হয় এক ঢোক পানির মাধ্যমে। তারপর নবী (সাঃ) বললেন যে, এ মাসে যে প্রচুর পরিমাণে আমার ও আমার আহলে বাইতের উপর দরূদ শরীফ পড়বে আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার নেকির পাল্লা ভারি করে দেবেন। আবার এ মাসে যে কোরআন শরীফের একটি আয়তও পাঠ করবে তাকে অন্য মাসের কোরআন শরীফ শেষ করার সমান সাওয়াব দান করা হবে। ওহে লোকসকল! এ মাসে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়। তাই দোয়া করো যে, এই দরজা যেনো তোমাদের জন্যে বন্ধ করে না দেয়া হয়। আর এ মাসে দোযখের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই দোয়া করো যে, এই দরজা যেন তোমার জন্যে খোলা না হয়। আবার এই মাসে শয়তান বন্দী হয়ে যায়। তাই তোমরা দোয়া করো যে, শয়তান যেন তোমাদের শাসনকর্তা রূপে পরিণত না হয়। (তাবাই)

অথচ অনেক দুঃখজনক আমাদের অনেকেই এ ব্যাপারে উদাসীন থেকে দুনিয়ায় জীবনেই মগ্ন হয়ে যাই। পবিত্র এ মাসে দুনিয়ায় কথা চিন্তা বা দুনিয়ায় কাজ করা নিষিদ্ধ নয়, তবে এমনভাবে তাতে মগ্ন হয়ে পড়া যাবে না যেন বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করা ক্ষুন্ন হয়। অনেকে আবার সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকলেও তেমন কোনো ইবাদাত করেন না। অহেতুক সময় নষ্ট করে দিন অতিবাহিত করে, যা কখনোই কাম্য নয়।

দীর্ঘ একমাসের সিয়াম সাধনার পর মহান আল্লাহ আমাদের জন্য ঈদুল ফিতর দিয়েছেন অবশ্যই আনন্দ করার জন্য। কিন্তু ঈদকে কেন্দ্র করে রমজানের শেষ দিকে যে অবস্থা আমাদের সমাজে দেখা যায়, তা সত্যিই দুঃখজনক।

রমজান তাকওয়া অর্জনের মাস। বেশি বেশি ইবাদত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাস, আত্মার শুদ্ধিকরণের মাস। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কেনাবেচা এ মাসে অনেক বেশি হয়। আর এর সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা ছলেবলে মানুষ ঠকানোর উৎসবে মেতে ওঠে৷ যা কখনোই একজন মুমিনের পরিচয় দেয় না। আবার ব্যবসায়ীরা যখন তাদের পণ্য বিক্রিতে মশগুল; অন্যরা শুধু পণ্য ক্রয়েই নয়, ফরজ ইবাদত ভুলে গিয়ে মার্কেট ও বিভিন্ন দোকানগুলোর পরিদর্শন ও প্রদক্ষিণে মগ্ন হয়ে পড়েন অনেকে। না ফরজ নামাজের গুরুত্ব, না সুন্নত আদায়ের গুরুত্ব, না তারাবির নামাজের চিন্তা, না কুরআন মাজীদ পাঠের কদর। আল্লাহর দরবারে হাত তুলে দোয়া ও রোনাজারির করে গুনাহ মাফের চেষ্টা করেন না অনেকে। এছাড়াও রয়েছে অশালীন চলাফেরা, যা রমজানের পবিত্রতাকে নষ্ট করে। আল্লাহ আমাদের সকলকে এসকল পাপাচার হতে মুক্ত করুন এবং পাপমুক্ত জীবন নসিব করুন।

প্রকৃতপক্ষে রমজান হলো পূর্বের সকল গুনাহর জন্য ক্ষমা চেয়ে সাচ্চা মুসলমান হয়ে জীবনযাপনের প্রতিজ্ঞা করার মাস। এ মাসের সময়গুলো খুব বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা উচিত। ফরজ নামাজ ও রোজা, ফরজ নামাজের পাশাপাশি তারাবিহ পড়া, সেহরির আগে তাহাজ্জুদ পড়া, যথাসম্ভব জিকির ও কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করে সময় কাটানো উচিত। সেই সাথে যথাসম্ভব দান সদকা করা, আশেপাশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হক আদায় করা বাঞ্ছনীয়। অশ্লীলতা, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা, অন্যের হক খাওয়া, সুদ ও জুয়াসহ সকল প্রকার হারাম কাজ থেকে তো সারা বছরই বেঁচে থাকা ফরজ, রমজান মাসে এর অপরিহার্যতা আরও বেড়ে যায়। কারন বরকতপূর্ণ সময়ের গুনাহর কাজ অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক হয়ে পড়তে পারে। তাই আমরা সবসময় প্রার্থনা করি আমাদের সবার জীবনে যেন রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়ুক।

আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে হেফাজত করুন, নেক কাজের তৌফিক দেন, সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার দৃঢ়তা দেন। আমাদের ঈমানকে মজবুত করার সুযোগ দেন। আমিন!

 

Stay connected: Facebook   LinkedIn

LinkedIn

স্বদেশী মধুর ঔষধি গুণ

স্বদেশী মধুর ঔষধি গুণ | Health Benefits Of Honey

স্বদেশী মধুর ঔষধি গুণ | Health Benefits Of Honey

কখনো ক্ষুধার তাড়নায় আবার কখনো রসনাবিলাস, খাবারের প্রয়োজন হয় জীবনের তাগিদে। প্রাচীন মিশরীয়রা বিশ্বাস করতো পরকালের জীবনেও মানুষের খাবারের প্রয়োজন হবে। পরকালের পাথেয় হিসেবে সোনা রুপার পাশাপাশি দেওয়া হতো সোনাবরণ মধু। সভ্যতার ইতিহাসে খাদ্য সংরক্ষণের ইতিহাস সুপ্রাচীন। খাবার সংরক্ষণের শুরুটা আপদকালীন বন্দোবস্ত হিসেবে হলেও এখন আর সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। যেকোন খাবার সংরক্ষণের পূর্বশর্ত হলো সেটাকে প্রক্রিয়াজাত করা। আধুনিক যুগে আমরা কতোই না প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকি। অনেক অনেক আগে গুহাবাসী শিকারীরা ধোঁয়ায় শুকিয়ে সংরক্ষণ করতো মাছ গোশত। সেটাই হালের শুঁটকি। এই অঞ্চলের মানুষকে ফল-সব্জী সংরক্ষণ এর প্রক্রিয়া শিখিয়েছে পর্তূগীজ বণিকেরা।

কোন রকমের কারসাজি ছাড়াই হাজার বছর টিকে থাকে যে খাবার তা হলো মধু। মধু মূলত ফুলের নির্যাস। মৌমাছির দল ফুলে ফুলে ঘুরে ঘুরে সংগৃহীত মধু জমা করে মৌচাকে। সৃষ্টিজগতের অপার বিষ্ময় ফুল! স্পর্শে কোমল, রঙ-বেরং এর ফুল থেকে নির্যাস টেনে নেওয়া মানুষের অসাধ্য। ফুলের মতো ফুলের নির্যাস ও নানা রঙ এ রঙ্গিন। ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে একেবেঁকে মৌচাকের দিকে ছুটে চলা মৌমাছির দল গুঞ্জন তোলে মহান রবের নামে। সুবাহান আল্লাহ!

অপরুপ এই দৃশ্য সম্পর্কে আল্লাহ পবিত্র কোরআন মাজীদের সূরা আন নাহল এর ৬৮ নম্বর আয়াতে বলেছেন, “নানা রঙ এ রঙ্গীন নির্যাসে পূর্ণ মৌমাছির পেট ভর্তি হয়েছে মানুষের জন্য শিফা, রোগ মুক্তির অমিয় সুধায়। এ নিশ্চয় চিন্তাশীলদের জন্য এক চরম নির্দশন।”

তরল মধু জমা হয় মোমের তৈরী প্রকোষ্ঠে। কাজ সেখানেই শেষ নয়। মধু প্রকোষ্ঠের উপর ঘুরে ঘুরে সেকেন্ডে ২৩০ বারের বেশি ডানা ঝাপটে সংগৃহীত মধুকে সংরক্ষণের উপযোগী করে তোলে মৌমাছির দল। মহান আল্লহর কুদরতে এই মধু সংরক্ষণে আর কোন রকমের প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রয়োজন হয় না।

সম্প্রতি প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর পুরনো মধু পাওয়া গেছে প্রাচীন মিশরীয় মমির সাথে। আলহামদুলিল্লাহ সেই মধু এখনো খাওয়ার উপযোগী। আমাদের অনেকের সকালটা শুরু হয় চা অথবা কফি পানের মধ্যমে। গরম পানীয়ের উষ্ণতা ভেতর থেকে চাংগা তোলে আমাদের। দুয়েক চামচ চিনি আমাদের সকালের পানীয়কে আরো উপভোগ্য করে তোলে।

স্বদেশী মধুর ঔষধি গুণ:

শক্তি পরিমাপের একক হলো ক্যালরি। দেহের ওজন কমাতে হলে দৈনিক ক্যালরি খরচের পরিমান হতে হবে ক্যালরি গ্রহণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক নারীর দৈনিক নিরাপদ ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা ১০০, পুরুষের ১৫০। এক চামচ চিনিতে আছে ১৬ ক্যালরি, অন্যদিকে মধুতে আছে ২২ ক্যালরি। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ক্যালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রনের জন্য চিনি খাওয়া উত্তম। কিন্তু, মধুর মিষ্টতা চিনির চাইতে বেশি, প্রায় দ্বিগুণ। অর্থাৎ, এক চামচ চিনির বিপরীতে আধা চামচ মধু যথেষ্ট। এক চামচ চিনিতে আছে ১৬ ক্যালোরি অন্যদিকে আধা চামচ মধুতে আছে ১১ ক্যালোরি।

  • চিনির বদলে মধু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ওজন কমানোর যুদ্ধে একটু হলেও এগিয়ে থাকা সম্ভব। এ যেন পবিত্র কোরআনের সেই বানীর সাথে মিলে যায়, চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন।
  • ত্বকে তারুণ্যের আভা ধরে রাখতে অল্প একটু আসল মধু মেখে মিনিট পনেরো রেখে দিলে উপকার পাওয়া যায়। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। যেকোন ধরনের ত্বকে ব্যবহার সম্ভব প্রাকৃতিক এই এন্টি-ফাংগাল।
  • সকালের শুরুটা যদি হয় বিশুদ্ধ স্বদেশী উদ্যোক্তা মধু পানের মধ্য দিয়ে তাহলে দিন কাটে চনমননে। প্রচুর ক্যালোরি উপাদান থাকায় মাত্র দুই চামচ মধু হতে পারে দিনের প্রয়োজনীয় শক্তির অন্যতম উৎস।
  • সন্তান লালন পালনে মায়েদের হতে হয় সুপার ওম্যান। সারাদিনের ছুটোছুটি, কাজের শেষে ক্লান্তিতে অসাড় হয়ে আসে দেহমন। মধু হতে পারে মায়েদের আদর্শ পথ্য। শুধু শারীরিক শক্তি নয়, বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও মধুর জুড়ি মেলা ভার। অবসাদ কাটাতে মধুর চাইতে ভালো বন্ধু আর কেউ নেই।
  • ঠান্ডা সর্দিজনিত পুরনো ব্যাধির উপশম হতে পারে শুধুমাত্র আসল মধুর সাহায্যে।
  • এছাড়া কিছু কিছু এলার্জির ক্ষেত্রেও আরাম পাওয়া যায় মধু পানে।

এতো এতো উপকারী এই নিয়ামত ও হতে পারে অকল্যাণের কারন। খোলা বাজারে পাওয়া অনেক মধুতে চিনি মেশানো হয়। আসল মধু খেলে রক্তে চিনির মাত্রা খুব বেশি বাড়ে না তাই বহুমুত্র রোগীরাও অল্প পরিমাণে মধুপান করতে পারেন। কিন্তু চিনি মেশানো মধু পান হতে পারে ভয়ানক বিপদজনক।

প্রক্রিয়াজাতকরণ:

যেকোন খাবারের মতো মধুকে কৃত্রিম উপায়ে প্রক্রিয়জাত করা হলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। বাজারে প্রচলিত প্রক্রিয়জাতকরণ পদ্ধতিগুলোর অন্যতম হলো মধুকে উত্তপ্ত করা। এরফলে মধু ঘন হয় এবং মধুতে চিনির অনুপাত বৃদ্ধি পায়। পুষ্টিগুন অক্ষুন্ন থাকেনা। স্বদেশী উদ্যোক্তা ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে সেরা এবং আসল খাবারের উপর। মধু ও এর ব্যাতিক্রম নয়। আমাদের মিশ্র ফুলের মধুতে আছে উপরে বর্ণিত সকল গুণাবলী। আমরা সবসময় চাকভাংগা মধু সরাসরি মোড়কীকরণ করে ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দেই তাই ইন শা আল্লাহ সকল গুণমান থাকে অটুট।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআন মাজীদে যে শিফার কথা বলেছেন সেটা মিথ্যা হতে পারে না। একমাত্র বিজ্ঞ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ভালো বলতে পারেন মধুতে আর কোন কোন গুণাবলী রয়েছে, কোন কোন রোগের শিফা আছে এই বিষ্ময়কর অমিয় সুধায়।

 

Stay connected: Facebook   LinkedIn

বড়ই আচার রেসিপি

বড়ই আচার রেসিপি | Boroi Achar Recipe

বড়ই আচার রেসিপি | Boroi Achar Recipe

উপকরন :-
বরই :- ১ কেজি
আখ এর গুড় :- ১/২ কেজি
হলুদ গুড়া :- ১ ১/২ চা চামচ
মরিচ গুড়া :- ১ চা চামচ
মৌরি টালা গুড়া :- ১ টে: চামচ
মেথী টালা গুড়া :- ১ চা চামচ
কালোজিরা টালা গুড়া :- ১/২ চা চামচ
লবন :- ২ চা চামচ
সরিষার তেল :- ২৫০ গ্রাম


বড়ই আচার রেসিপি কার্য প্রনালী :-
প্রথমে বড়ই ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বোটা ফেলে এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর বড়ই গুলো হাত দিয়ে চাপ দিয়ে একটু ফাটিয়ে নিয়ে তাতে স্বদেশী উদ্যোক্তার খাঁটি হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, ও পিংক লবন দিয়ে মাখিয়ে আবার এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন।
তারপর স্বদেশী উদ্যোক্তার খাঁটি গুড় টা ছুরি দিয়ে কেটে কুচি কুচি করে একটা প্যানে গুড় এবং অল্প পানি দিয়ে চুলায় বসান। কম আঁচে গুড় গলিয়ে নিন এবং গুড় গলে গেলে ভাল করে জাল
দিয়ে গুড় টা আঠা আঠা মত হলে বড়ই গুলো দিয়ে নিন ও কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করুন। বড়ই দেওয়ার পর গুড় কিছুটা পাতলা হয়ে যাবে তাই আরও একটু জাল দিয়ে গুড় টাইট হয়ে গেলে মৌরি, মেথী ও কালোজিরা টালা গুড়া দিয়ে মিশান ও সরিষার তেল দিয়ে নেড়ে মিশান। তেল টা একসাথে না দিয়ে ৩-৪ বারে দিন এবং নেড়ে মিশান। আচার হালকা গরম অবস্থায় বোতলে ভরুন।

প্রক্রিয়াজাতকরণ:

  • আচারের জন্য কাচের বোতল হলে ভাল।
  • আচার কিছুদিন পর পর রোদে দিলে অনেক দিন ভাল থাকে। বোতলের ঢাকনা খুলে রোদে আচার রোদে রাখুন।

 

Stay connected: Facebook   LinkedIn

বাদাম নিয়ে সকল খাঁটি তথ্য

বাদাম নিয়ে সকল খাঁটি তথ্য | Story Of Nuts

বাদাম নিয়ে সকল খাঁটি তথ্য | Story Of Nuts

ভজন রসিক মানুষের রসনায় প্রাচীন কাল থেকেই বহু ধরনের মিক্স ব্যবহার হয়ে আসছে। বিভিন্ন সুস্বাদু রান্নায় বাদামের ব্যবহারটাও বেশ পুরাতন। খাবারের স্বাদ ও পুষ্টিমান বহু গুনে বাড়িয়ে তুলতে বাদাম অনন্য ভূমিকা রাখে। কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ইত্যাদি কত রকমের বাদামই না আছে! ভিন্ন স্বাদের এ সকল বাদাম ভিন্নরকম খাদ্য গুনাগুনে ভরপুর। যেমন: বিরিয়ানি বা সালাদে ভাজা কাজুবাদামে কামড় পড়তেই খাবারের স্বাদটা যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল। বাদাম নিয়ে সকল খাঁটি তথ্য-

বাদাম আমাদের দেশে অত্যন্ত পরিচিত একটি ফল এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। কিন্তু এই বাদাম শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা খুব কম মানুষেই হয়ত জানেন। বাদামে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিনের মতো আরো অনেক পুষ্টিগুণ যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে। চিনাবাদাম, আখরোট, পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদাম (আমন্ড) এবং কাজু বাদামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ খাদ্য শক্তি। সব ধরনের বাদামেই এখন পাওয়া যায় আমাদের দেশে। তাই প্রতিদিন লবণ ছাড়া বাদাম খাবার অভ্যাস গড়ে তুললে আপনি থাকবেন সুস্থ ও ফিট।

আর আপনার খাদ্য তালিকায় কেন বাদাম রাখবেন, জেনে নিন তার কারণ–

  • বাদাম খেলে দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ হয়।
  • হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাদাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাদামে ওমেগা-৩ হার্ট ভালো রাখে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দূর করে। বাদাম খেলে হৃদপিণ্ড সক্রিয় থাকে। নিয়মিত বাদাম খেলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। এমনকি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বাদাম।
  • শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল পাওয়া যায় বাদাম থেকে।
  • বাদামে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং আয়রন আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দৈহিক গঠন সুন্দর করে।
  • বাদাম হাড় শক্ত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হাড় শক্ত থাকে।
  • বাদাম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং চিন্তা শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • গর্ভবতী নারীদের জন্য বাদাম অনেক উপকারী। এটি হবু মা এবং গর্ভের সন্তান উভয়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
  • বাদামে ভিটামিন আমাদের ত্বক মসৃণ রাখে এবং বয়সের ছাপ দূর করে। চোখের নীচের কালো দাগ দূর করতেও এর ভূমিকা রয়েছে। বাদামে থাকা প্রাকৃতিক তেল ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
  • বাদাম খেলে লিভার ও কিডনি ভালো থাকে। এটি শ্বাসকষ্ট ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
  • বাদামের ফাইবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ বাদাম দূর করে হজমের গণ্ডগোল।
  • কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে যায় বাদাম খেলে।
  • স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদামের উপকারিতা প্রচুর।

তবে যাদের হজমে সমস্যা আছে তারা অবশ্যই হজম ক্ষমতা বুঝে বাদাম খাবেন। যে বাদাম খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা অ্যালার্জির সমস্যা হয় সে বাদাম এড়িয়ে চলা উচিত। বিভিন্ন ধরনের বাদাম রয়েছে। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও তেলের জরুরি উৎস বাদাম। পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার হূদযন্ত্রকে রাখে সুস্থ। চিনিমুক্ত বাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। এর স্বাদ মনোহরী— পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব।

সাম্প্রতিক দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত বাদাম খান, তাদের আয়ু বেশি। এছাড়া হূদযন্ত্রজনিত বিভিন্ন সমস্যা থেকেও তারা মুক্ত থাকেন। বাদামের রয়েছে এমন সাতটি গুণ, যা জীবনকে রাখবে সদা আনন্দময়। অনেক রকমের বাদাম বিশ্বে উৎপাদিত হয়। সব বাদামই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। জানা যাক বাদামের খাদ্য উপাদান ও গুণাগুণ সম্বন্ধে।

কাজুবাদাম:

পায়েস, ক্ষীর, সন্দেশ, হালুয়া, লাচ্ছি, মিল্কশেক ইত্যাদি নানান মুখরোচক খাবার তৈরিতে কাজুবাদাম শুধু স্বাদই বৃদ্ধি করে না, বরং খাবারকে করে তোলে অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত। খালি খাওয়া হোক বা অন্য কোনো রেসিপি দিয়ে; কাজুবাদামে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। এতো বেশি মাত্রায় ভিটামিন রয়েছে এ বাদামে যে চিকিৎসকেরা একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন। সুস্বাদু ও পুষ্টিগুনে ভরা নোনা কাজুবাদাম পেতে ঘুরে আসতে পারেন “স্বদেশী উদ্যোক্তা” ওয়েবসাইট থেকে। ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করেও বাড়িতে বসে প্রতিদিন খেতে পারেন মজাদার এ বাদাম।

কাঠবাদাম:

বহুল পরিচিত এ বাদাম আমরা প্রায় হালকা লবন-মরিচ দিয়ে খাই। হয়ত জেনে অবাক হবেন কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এনার্জি, কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, ফ্যাট, প্রটিন, থায়ামিন, রাইবোফ্লেভিন, নিয়াসিন- ৪ মিলিগ্রাম প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, মনোআনস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড অয়েল, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বাব্বাহ! নিজের অজান্তেই রাস্তাঘাটে বাদাম চিবুতে চিবুতে কতগুলো প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান পেয়ে গেছি জীবনে! তবে শুধু খালি খাওয়ার জন্যই নয়, রান্নায় একটি অন্যতম উপাদান হিসেবে এ বাদাম বেশ জনপ্রিয়। গোস্ত রান্নায় কাঠবাদামের পেষ্ট অসাধারণ ঘ্রাণ ও সুস্বাদের জোগান দেয়।

পেস্তা বাদাম:

উৎসবের পায়েস, সেমাই , পোলাও সাজাতে গেলেই সবার আগে মনে পড়ে মজাদার পেস্তা বাদামের কথা। সুস্বাদু এ বাদামে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর। প্রোটিন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি নানাবিধ খাদ্যগুনাগুনের দারুণ উৎস হচ্ছে পেস্তা বাদাম।

চিনা বাদাম:

মুখরোচক স্ন্যাকস হিসেবে খ্যাত চিনা বাদাম! বাড়িতে, অফিসে সর্বত্র খাওয়ার জন্য এর জুড়ি মেলা ভার। সুস্বাদু চিনা বাদাম ক্যালরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ফ্যাট, ওমেগা -৬, ভিটামিন ই, আয়রন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামের মতো খাদ্য গুনে পরিপূর্ণ। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে মজাদার এ বাদাম খেলে স্বাস্থ্যকর ওজন এবং জীবনধারা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চিনা বাদাম রক্তচাপ সঠিকভাবে বজায় রাখতে এবং পেশী শক্তিশালী করতে বেশ কার্যকরী।

বেশ কিছু গবেষকদের মতে, কেউ যদি প্রতিদিন পরিমিত বাদাম খাওয়া শুরু করে, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ ঘটে, যা শরীরকে তো তরতাজা করেই! সেই সঙ্গে দেহ থেকে একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

 

Stay connected: Facebook   LinkedIn

খাঁটি সরিষার তেল

সরিষার তেল: প্রতি ফোঁটায় অরগানিক ছোঁয়া | Mustard Oil

ভোজ্য তেল হিসেবে কোন তেল বেছে নিবো সেটা নিয়ে বরাবরই আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। কারন খাবার হিসেবে আমরা যে তেল ব্যবহার করবো আমাদের শরীরে তার বড় ধরনের ইম্প্যাক্ট পড়ে। তেলের কথা ভাবলেই প্রথমে যে কথাটি আমাদের মাথায় আসে তা হলো, আমরা যে তেল কিনছি সেগুলো কি আসলেই খাঁটি? অস্বাস্থ্যকর তেল আমাদের পেটের পীড়া বাড়ায়, হজমে সমস্যা হয়, এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যেও ঝামেলা হয়। এতে সাধারণ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হয়।কয়েক দশক আগেও মানুষ ভোজ্য তেল হিসেবে সরিষার তেল ব্যবহার করতো।

এই তেলের কথা ভাবলেই স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে কাঠের ঘানিতে দুইটা গরু বাধা তারা ঘুরছে চারদিকে আর সরিষা থেকে তেল বের হচ্ছে। এ যেন বাংলার চিরাচরিত চিত্র। এই তেল বাঙালী রসনার অত্যাবশকীয় অনুষঙ্গ। ভর্তা, ভাজি, ভুনা যাই হোক না কেন এই তেল দিয়ে রান্না করাটা যেন আমাদের নিত্যদিনের চাহিদা। প্রাচীনকাল থেকে এই তেল তৈরি করা হয় ঘানিতে। কিন্তু বর্তমান যুগে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে ঘানি ভাঙা সরিষার তেল। আপনাদেরকে খাঁটি ঘানি ভাঙা তেলের স্বাদ দিতে আমরা সরবরাহ করছি বিশুদ্ধ সরিষার তেল।

এই তেল যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারীও। ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে সরিষার ব্যবহার হয়ে আসছে। অন্ত্রে পাচকরস উৎপাদনে সাহায্য করায় হজমপ্রক্রিয়া দ্রুত হয়। এ ছাড়া একই প্রক্রিয়ায় ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় এই তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়।

বিভিন্ন ভোজ্য তেলের ওপর করা একটি তুলনামূলক সমীক্ষায় দেখা যায়, সরিষার তেল ৭০ শতাংশ হৃৎপিণ্ড–সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। সরিষার তেল ব্যবহারে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়, যা হৃদ্​রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।

 

সরিষার তেলের উপকারিতা –

  • বাত রোগের জন্য উপকারী। ব্যথা প্রশমিত করে। চুল এবং ত্বকের যত্নের জন্য কার্যকর।
  • ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়ার মতো রোগের প্রদাহ হ্রাস করে।
  • যার ফলে তেলজনিত পেটের পীড়া কম হতো। এছাড়াও এই তেল আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গেই যেন মিশে আছে। এর ওষুধি গুণাগুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই তেল।
  • প্রতিদিনই এই তেল গ্রহণের অন্যতম উপায় হচ্ছে এই স্বাস্থ্যকর তেলকে ভোজ্য তেল হিসেবে নির্বাচিত করা। নিজেকে সুস্থ্য রাখার পাশাপাশি সরিষার তেলের ভিটামিনও প্রবেশ করবে আপনার দেহে।
  • এই তেল বাত রোগের জন্য খুবই উপকারী। ব্যথা প্রশমিত করে। চুল এবং ত্বকের যত্নের জন্য কার্যকর। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়ার মতো রোগের প্রদাহ হ্রাস করে।

কালের স্রোতে আর প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে আবহমান বাংলার এই ঐতিহ্য। এখন আর সেই আগের মত ঘানি ভাঙা সরিষার তেল পাওয়া যায়না। তাইতো বাঙালীর সেই চিরায়ত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে খাস ফুড আপনাদের জন্য সরবরাহ করছে তেতুল কাঠের ঘানিতে ভাঙা খাঁটি সরিষার তেল। যার ঘ্রাণ আপনাকে মনে করিয়ে দেবে আবহমান বাংলার প্রচলিত সেই খাঁটি সরিষার তেলের কথা। আমাদের এই সরিষার তেল তৈরীর জন্য সরিষা দানা সংগ্রহ করা হয় একদম প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে। এরপর বাছাই করা দানা থেকে তেতুল কাঠের ঘানিতে ভাঙানো হয় এবং তেল উৎপাদন করে পৌঁছে দেওয়া আপনাদের ঘরে ঘরে।

এছাড়া সরিষা সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্যাকেজিং অব্দি শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। যাতে করে তেলের ঘ্রাণ ও মান অটুট থাকে। তেল তৈরীর প্রতিটি ধাপে মান নিশ্চয়ন করা হয় নিজস্ব তত্বাবধানে। তাই আপনি যদি একদম খাঁটি সরিষার তেল নিতে চান। আমাদের কাছ থেকে যে কোনো ধরনের তেল নিতে পারেন নিশ্চিন্তে। আপনার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাই আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। তাই একবার হলেও সংগ্রহ করে দেখুন আমাদের খাঁটি তেল। আপনি কিনে সন্তুষ্ট হবেন ইনশাআল্লাহ্।

সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিয়ে “স্বদেশী উদ্যোক্তা” গ্রাহকদের আসল ঘানি ভাঙা তেলই সরবরাহ করে যাচ্ছে যেখানে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তেল উৎপাদিত হয়। আর “স্বদেশী উদ্যোক্তা” এর খাঁটি সরিষার তেলে পাবেন সেই ছেলেবেলার স্বাদ। আপনাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে ১০০ মিলি, ৫০০ মিলি, ১ লিটার ও ৫ লিটারের বোতলে প্যাকেটজাত করেছি। এই তেল অন্যান্য তেলের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ।