ছোলা ভুনা রেসেপি ঝটপট রান্নার উপায়

রোজা ছারাও বিকেলের নাস্তায় ছোলা মুড়ি অনেক বিখ্যাত। ছোলা খুবই শক্তিশালী ও সাস্থ্য সম্মত খাবার। তাহলে দেখে নেওয়া যাক কি কি লাগছে ছোলা ভুনা করতে-

ছোলা ভুনা রেসেপি ঝটপট রান্নার উপায়

  • ছোলা- ২৫০ গ্রাম(সিদ্ধ)
  • আলু -১ টি (সিদ্ধ)
  • পেয়াজ কিউব – ১ কাপ
  • কাঁচামরিচ – পরিমাণ মতন
  • সয়াবিন তেল- ১ কাপ
  • আদা বাটা- ১ চা চামচ
  • রসুন বাটা – ১ চা চামচ
  • জিরা বাটা- ১ চা চামচ
  • জিরা গুড়া – হাফ চা চামচ(নামানোর আগে দিতে হবে)
  • গরম মসল্লা গুড়া- হাফ চা চামচ( নামানোর আগে দিতে হবে)
  • তেয়াজপাতা- ২ টা
  • এলাচ – ৩ টা
  • দারুচিনি- ২ টা
  • শুকনা মরিচ( আস্ত)-৩ টা
  • হলুদ গুড়া- হাফ চা চামচ
  • মরিচ গুড়া- ১ চা চামচ
  • ধনিয়া গুড়া – ১ চা চামচ
  • লবন – সাদ মতন
  • পাকা টমেটো -২ টা
  • পানি – বড় ১ কাপ
  • ধনিয়াপাতা কুচি- পরিমাণ মতন

উপকরন গুলো সব রেডি – তা হলে আমারা আমাদের ছোলা ভুনা রান্নায় চলে যায়

প্রস্তুত প্রণালী : কড়াইতে তেল গরম করে পেয়াজ ভেজে এক এক করে ধনিয়াপাতা বাদে বাকি সব মসল্লা কসিয়ে একটু পানি দিয়ে আলু সেদ্ধ গালিয়ে বা চেটকিয়ে কসিয়ে ছোলা ঢেলে দিয়ে কিছু সময় নাড়াচাড়া দিয়ে পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে টমেটো এবং ধনিয়াপাতা দিয়ে নেড়ে জিরা আর গরম মসল্লা গুড়া দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

 

ইফতারে চাই স্বাস্থ্যকর এক গ্লাস শরবত !

পবিত্র সিয়াম সাধনার এ রমজান মাস এবার ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দীর্ঘদিনের সময়ে পড়েছে। তাছাড়া রোজা এবার গরমের মৌসুমে। ফলে সারাদিনের রোজায় ক্লান্ত হয়ে পড়বেন প্রায় সকলেই। প্রচণ্ড এ গরমে রোজা রাখার পর সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে ইফতারে চাই এমন কিছু, যা তেষ্টা মেটাবে এবং দূর করবে ক্লান্তি। এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত সারা দিনের ক্লান্তি মুছে শরীরকে চাঙা করতেই শুধু ভূমিকা রাখে না, একই সঙ্গে অবসাদ ঘুচিয়ে দিতেও বেশ কার্যকরী। তাই ইফতারে সবার চাই স্বাস্থ্যকর এক গ্লাস শরবত।

রৌদ্রতপ্ত দিনের পানির চাহিদা মিটানোর জন্য প্রয়োজন অনেক বেশি পানি পান করা। কিন্তু অনেকেরই পানি বেশি খাবার অভ্যাস নেই। আবার বারবার পানি খেতে একঘেয়েমি লেগে যায়। এ ক্ষেত্রে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি শরীরের পানির স্বল্পতা দূর করতে শরবতের জুড়ি মেলা ভার। বাজার এখন মৌসুমী ফলে ভরপুর। এসব ফল দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন ঠান্ডা মজাদার শরবত। বাজার থেকে এনে পরিষ্কার ও জীবানুমুক্ত করে ফেলুন আপনার পছন্দের ফল এবং রমজানের পুরো মাসজুড়ে সতেজ থাকতে একেক দিন বেছে নিতে পারেন পছন্দের একেকটি শরবত। কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়াই এসব শরবত আপনার ও আপনার পরিবারকে করবে প্রাণবন্ত। সেই সাথে তাজা ফলের তৈরি শরবতের পুষ্টিগুন আপনাকে করবে সতেজ ও সুন্দর।

তাই চলুন চটপট কিছু সহজ, সুস্বাদু শরবত তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ, প্রস্তুত প্রনালী ও উপকারিতা দেখে নেয়া যাক।

১. পুদিনার শরবত

উপকরণঃ

পুদিনা পাতা বাটা ২ চা চামচ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ১ চিমটি বিট লবন, স্বাদমতো লবন এবং পানি ১ গ্লাস।

প্রণালিঃ

প্রথমে পুদিনা পাতা ধুয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার পানির সঙ্গে পুদিনা পাতা বাটা, চিনি ভালো করে মিশিয়ে ছেঁকে নিন। চিনিতে সমস্যা হলে এর পরিবর্তে অন্য কিছু ব্যবহার করতে পারেন বা চিনি বাদ দিয়ে লবণ ও ১ চিমটি বিটলবণ মিশিয়ে নিন। সবার শেষে লেবুর রস দিয়ে দিন।

উপকারিতাঃ

এ শরবত পানে অনেক বেশি সতেজ অনুভত হয়। পুদিনাপাতা ও লেবুর রসের মিশ্রণ শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরনের সাথে সাথে পেটের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে খুব দ্রুত।

২. দুধ তোকমার শরবত

উপকরণঃ

তোকমার দানা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ টেবিল চামচ, বরফকুচি ২ টেবিল চামচ এবং রুহ-আফজা ১/২ চা চামচ।

প্রণালিঃ

প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। শরবত বানানোর আধাঘণ্টা আগে তোকমার দানা ১/২ গ্লাস খাবার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ভিজিয়ে রাখা তোকমার দানা ঠান্ডা দুধে মিশিয়ে নিন। চিনি ও রুহ-আফজা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। বরফকুচি মিশিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

উপকারিতাঃ

এ গরমে দেহের তাপ কমাতে এ শরবত বিশেষ সহায়ক। শুধু ইফতার নয়, সেহেরিতেও খেতে পারেন কারণ এতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, যা বাড়তি ক্ষুধা দূর করে এবং পেট দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণ থাকার অনুভূতি দেয়। দেহের ওজন কমাতে এ বীজের জুড়ি নেই। তোকমার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া এর নানা উপাদান দেহের চর্বি কমাতে সহায়তা করে। তাই এ রমজানে প্রতিদিনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হতে পারে এ শরবতটি।

৩. আদা লেবুর শরবত

উপকরণঃ

আদার রস ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ঠাণ্ডা পানি ১ গ্লাস।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানাতে হবে। ইফতারের সময় এই শরবত খুবই ভালো লাগবে।

উপকারিতাঃ

দীর্ঘ সময় রোজা রাখার ফলে হাতে-পায়ের বা শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এ শরবত। এ ছাড়া ক্যানসার, বমি বমি ভাব, রক্তচাপ কমাতেও বিশেষ উপকারী আদা লেবুর শরবত। ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া হয়। তাই লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চর্বি কমাতে সাহায্য করবে আশা করা যায়।

৪. শসার শরবত

উপকরণঃ

শসা ২৫০ গ্রাম, ধনেপাতা কুচি আধা টেবিল চামচ, বিট লবণ সামান্য, চিনি সামান্য, কাঁচা মরিচ ১টি এবং পানি সামান্য।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

শসার খোসা ছাড়িয়ে এবং বীজ ফেলে কুচি করে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার সুদৃশ্য একটা শরবতের গ্লাসে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার শসার শরবত।

উপকারিতাঃ

স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের বিশেষ পছন্দের এ শরবত শুধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তাই নয়, এটি দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধ করার শক্তি বৃদ্ধি করে। ইফতারে এ শরবত দেহের পানি শূন্যতা দূরের পাশাপাশি দেহের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। যাদের হজমের সমস্যা আছে, তারা অবশ্যই এ শরবত পান করে দেখতে পারেন। আশা রাখি উপকার পাবেন।

৫. আমের শরবত

উপকরণঃ

কাঁচা আম কুচি এককাপ, চিনি স্বাদমতো, পানি আধাকাপ, বিট লবণ এক চিমটি, পরিমাণমতো বরফ কুচি।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

আম ভালোভাবে ধুয়ে কেটে টুকরো করে নিন। এবার ব্লেন্ডারে একে একে আম, পরিমানমতো বিট লবন, কাচামরিচ, চিনি ও পানি দিন। সবকিছু একসাথে ভালোকরে ব্লেন্ড করুন ২ মিনিট। হয়ে গেলো দারুন স্বাদের কাঁচা আমের শরবত। গ্লাসে ঢেলে বরফ টুকরো দিয়ে পরিবেশন করুন।

উপকারিতাঃ

গরমের প্রধান প্রশান্তি বলা চলে আমকে। প্রচন্ড সুস্বাদু আমের শরবত ইফতারে পান করলে এক নিমিষে জুড়িয়ে যাবে আপনার মনপ্রাণ। ফাইবার সমৃদ্ধ এ ফল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ সহায়ক। ভিটামিন-সি যুক্ত হওয়ায় ঠান্ডাজনিত রোগ নিরাময়ে উপকারী। অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী এ শরবত পানে শরীর নানাবিধ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে আশা করা যায়।

৬. তরমুজের শরবত

উপকরণঃ

তরমুজ কুচি দুইকাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ, বিট লবণ আধা চা চামচ, লেবুর রস ২ চা চামচ, বরফ কুচি।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

তরমুজ কুচিসহ সব উপকরণ মিশিয়ে ব্লেন্ড করে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রয়োজনীয় ঠাণ্ডা হলে নামিয়ে এনে পরিবেশন করুন রঙিন এক গ্লাস ঠাণ্ডা তরমুজ শরবত।

উপকারিতাঃ

দেখতে সুন্দর, স্বাদে ভরপুর এ শরবত ইফতারে আপনাকে দেবে বিশেষ প্রশান্তি। গরমে প্রাণ জুড়াতে তরমুজের শরবতের জুড়ি নেই। সুস্বাদু এ শরবত কিডনি সুস্থ রাখার পাশাপাশি রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তরমুজের শরবত অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া প্রোস্টেট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৭. আনারসের শরবত

উপকরণঃ

আনারস কুচি ১ কাপ, বিট লবণ আধা চা চামচ, চিনি ২ চা চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ২ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

আনারস কুচির সঙ্গে বিট লবণ, চিনি, গোল মরিচের গুঁড়া ও পানি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল আনারসের শরবত। এবার সুন্দর একটি গ্লাসে ঢেলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

উপকারিতাঃ

আনারসের শরবত খুব পুষ্টিকর একটি পানীয়। অত্যাধিক পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার থাকায় এটি ত্বকের জন্য খুব উপকারী। ইফতারিতে অনায়াসে খেতে পারেন এ শরবত, কারণ খালি পেটে এ শরবত কৃমি নিবারনে সাহায্যকারী। আনারসে আছে উচ্চ মাত্রায় পানিতে দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি এবং পানিতে দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহকে ফ্রি-রেডিকেল থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত মারাত্মক রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।

৮. জামের শরবত

উপকরণঃ

জাম ১ কাপ, পানি ১ কাপ, চিনি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, অর্ধেক কাঁচামরিচ, পুদিনাপাতা কুচি, পরিমান মতো লবণ।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

জাম বীচি থেকে আলাদা করুন। এবার অন্যান্য সব উপকরণ আর জাম একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে ছেঁকে নিন অথবা না ছেঁকে নিলেও হবে। ফ্রিজে রেখে দিন ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য। ঠাণ্ডা হলে ইফতারে পরিবেশন করুন।

উপকারিতাঃ

সারাদিনের কর্মব্যস্ত শরীরকে নিমিষেই তরতাজা করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে জামের শরবত। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী এ শরবত ইফতারে শুধু তৃষ্ণা মেটাবে না, মেটাবে প্রয়োজনীয় নানান পুষ্টির চাহিদা।

৯. তেঁতুলের শরবত

উপকরণঃ

তেঁতুল, বিট লবণ, চিনি, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, শুকনা মরিচের গুড়া, ঠাণ্ডা পানি।

প্রস্তুত প্রণালীঃ

প্রথমে তেঁতুল থেকে বিচি আলাদা করে একটি পাত্রে তেঁতুল গুলে নিন। গোলানো তেঁতুলের সঙ্গে পরিমানমতো ঠাণ্ডা পানি মিশান। এবার তেঁতুলের সঙ্গে একে একে পরিমানমতো চিনি, বিট লবণ, টেলে রাখা শুকনা মরিচের গুড়া, কাঁচা মরিচ কুচি ও ধনিয়া পাতা কুচি দিন এবং নেড়ে ১০ মিনিট রাখুন। তেঁতুলের মিশ্রনটি অন্য একটি পাত্রে ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন। গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

উপকারিতাঃ

গরমে তেঁতুলের শরবত দেবে অতুলনীয় প্রশান্তি। তেঁতুল রক্তের কোলস্টেরল কমায়। তাই এ রমজানে পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত অনেকটা সাহায্য করবে। তেঁতুলে থাকা ভিটামিন-মিনারেলস স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।

১০. পুদিনা পেস্তার লাচ্ছি

উপকরণঃ

মিষ্টি দই ১ কাপ, পুদিনা ২ টে. চামচ, পেস্তা বাদাম ১ টে. চামচ, কাঁচামরিচ ১ টা, চিনি ২ টে. চামচ এবং বরফ ১০-১২ টুকরো।

প্রণালিঃ

প্রথমে মিষ্টি দই, পুদিনা, পেস্তা বাদাম, চিনি, কাঁচামরিচ ও বরফের টুকরোগুলো ব্লেন্ডারে নিয়ে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে, পছন্দের গ্লাসে ঢেলে উপরে পুদিনা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

উপকারিতাঃ

অনেক সুস্বাদু এ শরবত এ গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। পুদিনা পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট পেটের যেকোনও সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এ শরবত নিমিষেই শরীরকে চাঙ্গা করবে। দই ও পেস্তা বাদাম শরীরে জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শরবত ছাড়া ইফতারে তৃষ্ণা মেটানো দায়। সারাদিনের গরমে রোজাদার ব্যক্তির কাহিল দেহ যখন তৃষ্ণায় জর্জরিত, তখন এক গ্লাস ঠান্ডা ফলের শরবত পুরো শরীরে দেয় এক শান্তির ছোঁয়া। পানির চাহিদা পূরনে সহায়ক, ফলের শরবতের উপকারী খাদ্য গুনাবলি শরীরের ক্ষয় পূরনেও বিশেষ উপকারী। সুস্থ দেহে ইবাদতের মাধ্যমে আমরা এ পবিত্র মাসে আমাদের সব গুনাহ মাফে তৎপর হই। নিজেকে সুস্থ রাখি এবং আশেপাশের নিম্ন আয়ের মানুষকে যথাসাধ্য সাহায্য করি। পবিত্র রমজান মাসকে সকলের জন্য সুন্দর করার চেষ্টা করি। আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের সকলের সহায় হোন। আমিন ?

 

ঐতিহ্যবাহী আখনি বিরিয়ানি

ঐতিহ্যবাহী আখনি বিরিয়ানি রেসিপি | Yakhni Biriyani

ঐতিহ্যবাহী আখনি বিরিয়ানি রেসিপি | Yakhni Biriyani

উপকরণ-১:

চিনিগুঁড়া চাল ২ কেজি, গরুর মাংস ৪ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ২ কেজি, রসুনবাটা ২০০ গ্রাম, আদাবাটা ২০০ গ্রাম, সাদা সরিষা ৫০ গ্রাম, চিনাবাদাম ৫০ গ্রাম, নারকেল কুচি ২০০ গ্রাম, মরিচ গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, গরমমসলা পরিমাণমতো, টমেটো ১ কেজি, কাঁচা মরিচ ১০-১২টা, তেল ১ কাপ, ঘি ১ কাপ, জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, টকদই ২ কাপ, লবণ ও গরম পানি পরিমাণমতো।

উপকরণ-২:

মুখ চেরা এলাচি ১০টি, দারুচিনি (২ ইঞ্চি) ৪ টুকরা, লবঙ্গ ১০টি, জায়ফল ১টি, জয়ত্রী ২ টেবিল চামচ, শাহি জিরা ২ চা চামচ, কেওড়া ২ টেবিল চামচ ও গোলাপজল ২ টেবিল চামচ।

ঐতিহ্যবাহী আখনি বিরিয়ানি প্রণালি:

চাল ও মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। গরম পানি ছাড়া মাংসে ১ নম্বর উপকরণের মসলা, তেল ও ঘি মেখে চুলায় বসাতে হবে। মাঝারি আঁচে মাংস রান্না করতে হবে। মাঝেমধ্যে নেড়ে দিতে হবে। সেদ্ধ হলে চাল মাংসে ঢেলে দিয়ে পাঁচ মিনিট কষাতে হবে। এবার পরিমাণমতো গরম পানি দিতে হবে। অন্য দিকে উপকরণ–২–এর মসলা তাওয়ায় ভেজে গুঁড়া করে নিতে হবে। চাল ও মাংসের পানি শুকিয়ে এলে গুঁড়া মসলা দিয়ে দমে বসাতে হবে। চাল ফুটে উঠলে কেওড়া ও গোলাপজল দিতে হবে। কিছুক্ষণ দমে দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। বড় পাত্রে আখনি বিরিয়ানি নিয়ে বেরেস্তা ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।

*বিরিয়ানির স্বাদ আরো বাড়াতে স্বদেশী উদ্যোক্তার খাঁটি মসলা ব্যবহার করুণ।

Stay connected: Facebook   LinkedIn

গরুর মাংসের কালাভুনা রেসিপি

গরুর মাংসের কালাভুনা রেসিপি | Recipe Of Kala Vuna

গরুর মাংসের কালাভুনা রেসিপি | Recipe Of Kala Vuna

চট্টগ্রামের বিখ্যাত গরুর মাংসের কালা ভুনা রান্নার কথা না বললেই নয়। ঢাকার নানান হোটেলে খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে যাদের তাদের কাছে কালা ভুনা ভালোই পছন্দের। অসম্ভব মজাদার এই খাবারটির জন্ম স্থান চট্টগ্রাম, তাই হয়তো চট্টগ্রামের কালো ভুনা স্বাদে- ঐতিহ্যে অন্য সবার চাইতে আলাদা। শোনা গেছে সেখানে শুধুমাত্র এই কালা ভুনা রান্নার জন্য স্পেশাল বাবুর্চিও আছে, যাদের ডাক পড়ে বাইরে বিভিন্ন জায়গায়! আর চট্টগ্রামের বিয়ে বাড়িতে খাবারের মেনু তো কালো ভুনা ছাড়া কল্পনাই করা যায়না। কালা ভুনার এত সুনাম দেখে নিশ্চয়ই এখন ভাবছেন কিভাবে তা রান্না করা হয়? চিন্তা নেই, আপনাদের জন্যই শেয়ার করছি বিখ্যাত এই গরুর মাংসের রেসিপি। তৈরি করুণ বাড়িতেই চট্টগ্রামের বিখ্যাত গরুর মাংসের কালা ভুনা। ঘরে বসেই দেখে নিন স্বদেশী উদ্যোক্তার গরুর মাংসের নানা রকম রেসিপি। ঘরে বসে স্বাদ নিন গরুর মাংসের কালা ভুনার।

উপকরণ-১:

গরুর মাংস চার কেজি, পেঁয়াজবাটা দুই কাপ, রসুনবাটা পৌনে এক কাপ, আদাবাটা আধা কাপ, বাদামবাটা সিকি কাপ, সাদা সরিষাবাটা আধা কাপ, মরিচ গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, জিরা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, টকদই ২ কাপ, সরিষার তেল ১ কাপ, লবণ ও গরমমসলা পরিমাণমতো।

উপকরণ-২:

পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, সয়াবিন তেল ৩ কাপ, গরমমসলা টালা গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচ টালা গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, জায়ফল টালা গুঁড়া ১টি, জয়ত্রী টালা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ ও কাঁচা মরিচ ১০ থেকে ১২টি।

গরুর মাংসের কালাভুনা রেসিপি প্রণালি:

১ নম্বর উপকরণ মাংসের সঙ্গে মেখে চুলায় দিয়ে রান্না করতে হবে। সেদ্ধ হওয়ার পর জন্য প্রয়োজনে ১ কাপ গরম পানি দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিতে হবে। অন্য সসপ্যানে ২ নম্বর উপকরণের তেল গরম করে মসলাগুলো দিয়ে দিতে হবে। এগুলো একটু বাদামি হলে গরুও মাংস ঢেলে দিতে হবে। তেলের ওপর অনেকক্ষণ কষিয়ে কালো হয়ে এলে ২ নম্বরের উপকরণগুলো দিয়ে আরেকটু নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর ভাত, খিচুড়ি বা পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন।

*কালা ভুনার স্বাদ আরো বাড়াতে স্বদেশী উদ্যোক্তার খাঁটি সরিষার তেল ব্যবহার করুণ।

Stay connected: Facebook   LinkedIn

চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেজবানি রেসিপি

চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেজবানি রেসিপি | Recipe Of Mejbani

চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেজবানি রেসিপি | Recipe Of Mejbani

চট্টগ্রামের ঐতিহ্য মেজবান। অনেকে মেজবানি মাংস খুব পছন্দ করেন। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার হওয়ায় বাইরের শহরগুলোর অনেকেই এটা রান্না করতে পারেন না। কেউ কেউ মনে করেন, মেজবানি মাংস রান্না করা কঠিন কাজ। মোটেও না, দেখে নিন কত সহজে মেজবানি মাংস রান্না করা যায়।

উপকরণ:

গরুর মাংস- দেড় কেজি (হাড় ও চর্বিসহ), সরিষার তেল- আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ, টমেটো- ২টি (মাঝারি করে কাটা), কাঁচামরিচ- কয়েকটি, গরম মসলার গুঁড়া- ১ চা চামচ

মেজবানি মসলা তৈরির উপকরণ:

আস্ত জিরা- ১ টেবিল চামচ, সাদা সরিষা- ১/২ টেবিল চামচ, ধনিয়া- ১ টেবিল চামচ, মৌরি- ১/২ টেবিল চামচ, শুকনো মরিচ- কয়েকটি, মেথি- ১ চা চামচ, জয়ত্রী- ছোট ২টি, জয়ফল- ১টি, রাঁধুনি- ১ চা চামচ, পোস্তদানা- ১ টেবিল চামচ

মাংস মাখানোর মসলা তৈরির জন্য:

লাল মরিচ গুঁড়া- ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া- ১/২ টেবিল চামচ, এলাচ- কয়েকটি, কালো এলাচ- ১টি, তারা মৌরি- ১টি, লবঙ্গ- ৫টি, দারুচিনি- ২টি (মাঝারি), গোলমরিচ- ১৫টি, তেজপাতা- ২টি, লবণ- ১ টেবিল চামচ, আদা-রসুন বাটা- ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা- ৪ টেবিল চামচ, বাদাম বাটা- ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল- ২ টেবিল চামচ।

চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেজবানি রেসিপি প্রস্তুত প্রণালি:

পোস্টদানা বাদে মেজবানি মসলা তৈরির উপকরণগুলো সব একটি শুকনা প্যানে অল্প আঁচে চুলায় টেলে নিন। টালা মসলার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ পোস্তদানা দিয়ে সব একসঙ্গে ব্লেন্ড করুন।

একটি বড় বাটিতে মাংস নিন। মেজবানি মসলা ও মাংস মাখানোর মসলা সব দিয়ে মেখে নিন মাংস। চুলায় প্যান বসিয়ে সরিষার তেল গরম করুন। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে নিন। পেঁয়াজ লাল হয়ে গেলে টমেটো কুচি দিয়ে ভাজুন একসঙ্গে। টমেটো নরম হয়ে গেলে মাখিয়ে রাখা মাংস দিয়ে দিন প্যানে।

ভালো করে নেড়েচেড়ে প্যান ঢেকে দিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। মাঝে দুই-একবার নেড়ে দিতে হবে। মাংস ভালোভাবে কষানোর পর ২ কাপ পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন প্যান। চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন মাংস সেদ্ধ হওয়ার জন্য।

মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে গরম মসলার গুঁড়া ও কয়েকটি আস্ত কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম।

 

Stay connected: Facebook   LinkedIn

বেগুনি বানানোর সহজ রেসিপি

বেগুনি বানানোর সহজ রেসিপি | Recipe Of Beguni

বেগুনি বানানোর সহজ রেসিপি | Recipe Of Beguni
বাড়িতে বেগুনি তৈরি করলে অনেকক্ষেত্রেই তা মচমচে হয় না। আর তাই মচমচে বেগুনি খেতে অনেকেই বাইরে থেকে কিনে আনেন। যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। রেসেপি জানা থাকলে আপনিও তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু মচমচে বেগুনি। রমজান মাসে ইফতারির সময় বেগুনি একটি কমন আইটেম । রোজার মাসে প্রতিটি স্টলে বেগুনি শোভা পায় । বাজারে যে বেগুনি পাওয়া যায় তাতে বেসনের পরিমাণ অনেক কম থাকে আর বেগুনও কম দেওয়া হয় তাই খেতে অতটা স্বাদ লাগে না । তাই দেরি না করে বাসাতেই তৈরি করে ফেলুন মচমচে ও সুস্বাদু বেগুনি ।
বেগুনি বানানোর সহজ রেসিপি উপকরণঃ
২. স্বদেশী উদ্যোক্তা দ্বারা সংগৃহীত চালের গুঁড়া আধা কাপ
৩. লম্বা বেগুন ১-২টি
৬. বেকিং পাউড়ার এক চা-চামচ
৭. পেঁয়াজ বাটা এক চা-চামচ
৮. রসুন বাটা এক চা-চামচ
৯. আদা বাটা এক চা-চামচ
১০. লবণ পরিমাণ মতো
১১. তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমত
‪বেগুনি বানানোর সহজ রেসিপি প্রণালী:
বেগুন ও তেল বাদে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে পানি দিয়ে মিশিয়ে থকথকে গোলার মত করে ফেলুন। এরপর কিছু সময় ঢেকে রাখুন। বেগুন পাতলা টুকরা করে কেটে সামান্য লবণ ও হলুদ মাখিয়ে রাখুন। এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে বেগুন বেসনের গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভাজতে শুরু করুন আস্তে আস্তে। খেয়াল রাখবেন যেন মচমচে বাদামি রঙ করে ভাজা হয়। এরপর তেল থেকে উঠিয়ে কিচেন টাওয়েল অথবা কাগজের ওপর রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। তৈরি হয়ে গেল গরমাগরম মজাদার বেগুনি !
Stay connected: Facebook   LinkedIn
বড়ই আচার রেসিপি

বড়ই আচার রেসিপি | Boroi Achar Recipe

বড়ই আচার রেসিপি | Boroi Achar Recipe

উপকরন :-
বরই :- ১ কেজি
আখ এর গুড় :- ১/২ কেজি
হলুদ গুড়া :- ১ ১/২ চা চামচ
মরিচ গুড়া :- ১ চা চামচ
মৌরি টালা গুড়া :- ১ টে: চামচ
মেথী টালা গুড়া :- ১ চা চামচ
কালোজিরা টালা গুড়া :- ১/২ চা চামচ
লবন :- ২ চা চামচ
সরিষার তেল :- ২৫০ গ্রাম


বড়ই আচার রেসিপি কার্য প্রনালী :-
প্রথমে বড়ই ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বোটা ফেলে এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর বড়ই গুলো হাত দিয়ে চাপ দিয়ে একটু ফাটিয়ে নিয়ে তাতে স্বদেশী উদ্যোক্তার খাঁটি হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, ও পিংক লবন দিয়ে মাখিয়ে আবার এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন।
তারপর স্বদেশী উদ্যোক্তার খাঁটি গুড় টা ছুরি দিয়ে কেটে কুচি কুচি করে একটা প্যানে গুড় এবং অল্প পানি দিয়ে চুলায় বসান। কম আঁচে গুড় গলিয়ে নিন এবং গুড় গলে গেলে ভাল করে জাল
দিয়ে গুড় টা আঠা আঠা মত হলে বড়ই গুলো দিয়ে নিন ও কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করুন। বড়ই দেওয়ার পর গুড় কিছুটা পাতলা হয়ে যাবে তাই আরও একটু জাল দিয়ে গুড় টাইট হয়ে গেলে মৌরি, মেথী ও কালোজিরা টালা গুড়া দিয়ে মিশান ও সরিষার তেল দিয়ে নেড়ে মিশান। তেল টা একসাথে না দিয়ে ৩-৪ বারে দিন এবং নেড়ে মিশান। আচার হালকা গরম অবস্থায় বোতলে ভরুন।

প্রক্রিয়াজাতকরণ:

  • আচারের জন্য কাচের বোতল হলে ভাল।
  • আচার কিছুদিন পর পর রোদে দিলে অনেক দিন ভাল থাকে। বোতলের ঢাকনা খুলে রোদে আচার রোদে রাখুন।

 

Stay connected: Facebook   LinkedIn